Thursday, July 31, 2014

ইম্পোর্টেন্ট
//যে মহিলারা সুঘ্রাণ ছড়িয়ে খোলামেলা পুরুষের মজলিশে কিংবা অনুষ্ঠান অথবা তাদের ক্লাব অন্য লোকের ঘরে যায়, তাদের অবস্থা কেমন হবে?//
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেন, “প্রত্যেক চোখ ব্যভিচার করে মেয়েলোক যখন সুগন্ধি মেখে কোন মজলিশের পাশ অতিক্রম করে, সেও ব্যভিচারিণী” (আবু দাউদ তিরমিযী)
অন্য একটি বর্ণনায় এসেছে, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেন, “কোন মহিলা সুগন্ধি মেখে কোন সম্প্রদায়ের নিকট দিয়ে যদি এজন্য অতিক্রম করে যে তারা তার কাছ থেকে সুঘ্রাণ লাভ করবে তাহলে সে ব্যভিচারিণী আর প্রত্যেক চোখ ব্যভিচার করে” (আবু দাউদ)
এর অর্থ হল, সে ব্যভিচারের প্রতি আহ্বানকারিণী প্রকার তৎপরতার জন্য সে গুণাহগার হিসেবে সাব্যস্ত হবে হাদীসে উল্লেখিতচোখ ব্যভিচার করেএর অর্থ হল, নারীদের নিষিদ্ধ সতরের দিকে তাকানো গুণাহ কেননা, হারাম দৃষ্টি ব্যবিচারের কারণ এবং যৌন কামনা সৃষ্টির উপায়
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেন, “আল্লাহ সে স্ত্রীলোকের নামায কবুল করেন না, যে সুগন্ধি মেখে তার ঘ্রাণ বাতাসে ছড়িয়ে মসজিদের উদ্দেশ্যে বের হয়, যে পর্যন্ত না সে ঘরে ফিরে আসে গোসল করে” (আবু দাউদ, মুসনাদে আহমাদ)
এটা হল, সুগন্ধি নিয়ে মসজিদে যাওয়ার পরিণতি কিন্তু যে মহিলারা সুঘ্রাণ ছড়িয়ে খোলামেলা পুরুষের মজলিশে কিংবা অনুষ্ঠান অথবা তাদের ক্লাব অন্য লোকের ঘরে যায়, তাদের অবস্খা সহজেই অনুমেয়
মহিলাদের উগ্র চালচলনের ভয়াবহ আখিরাতের পরিণতি সম্পর্কে হযতর আবু হুরায়রা (রাদিয়াল্লাহ আনহু) বর্ণিত হাদীসটিও এখানে উল্লেখের দাবী রাখে
প্রিয় নবীজী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেন,
জাহান্নামের দুপ্রকার লোককে আমি (দুনিয়ায়) দেখে নি এক, যাদের নিকট গরুর লেজের মত লম্বা লাঠি থাকবে এবং এর দ্বারা তারা লোকদেরকে বিভিন্নভাবে নির্যাতন করবে দুই, এক প্রকার স্ত্রীলোক যারা কাপড় পরেও উলঙ্গ, গুণাহর প্রতি ঝোঁক প্রবণ এবং অন্যদেরকেও গুণাহর প্রতি আকৃষ্টকারিণী, তাদের মাথা খোঁপা হবে অহংকারী উটের কুব্জের মত উঁচু
তারা না জান্নাতে যাবে আর না জান্নাতের ঘ্রাণ পাবে অথচ জান্নাতের ঘ্রাণ এত এত দূরের পথ থেকেও পাওয়া যায়” (মুসলিম শরীফ)
উপরোক্ত প্রকারের মহিলারা নিজেরা ইসলাম প্রদত্ত শালীন পোশাকাদি ত্যাগ করত নিজেরা গুণাহে লিপ্ত অন্যদেরও তার প্রতি আকৃষ্ট করে তাই তাদের শাস্তি হল, তারা জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না এবং তারা তা থেকে এত দূরে অবস্খান করবে যে জান্নাতের ঘ্রাণও পাবে না
তাদের বর্বর আচরণের জন্য তাদের প্রতি অভিশাপ বর্ণনা প্রদান করতে গিয়ে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেন, “তাদেরকে অভিশম্পাত দাও কেননা তারা অভিশপ্ত (আল্লাহর রহমত পাওয়ার অধিকার বঞ্চিত)” (ইবনে হিব্বান, হাকিম)
উপরোক্ত আলোচনা থেকে স্পষ্ট হয়ে উঠেছে সৌন্দর্য সর্বমহলে প্রিয় মহান আল্লাহ সৌন্দর্যকে পছন্দ করেন মানব সমাজে পরম আকর্ষণের প্রতি ইসলাম বিধি-নিষেধ আরোপ করে সৌন্দর্য চর্চার একটি মাপকাঠি রচনা করে দেয় যাতে ভারসাম্যপূর্ণভাবে তার চর্চা হয় অশ্লীলতার কারণ না হয়ে যায় তাই প্রতিটি মুসলিম নর-নারীর কর্তব্য হল, সৌন্দর্য চর্চাকে স্বীয় স্বামী মহিলা অঙ্গন পর্যন্ত সীমিত রাখা মুহরিম ব্যক্তিদের পর্যন্ত তা সম্প্রসারিত করা দোষণীয় নয় এছাড়া অন্যদের সামনে সাজ-গোজের কোন মূল্য নেই
সুত্র: সাজসজ্জা রুপচর্চার ইসলামী বিধান
. মুহাম্মদ ওয়ালি উল্লাহ

-পবিত্র রমজানে এসব বিষয়ে বোনদের(বিশেষ করে যারা দ্বীনকে নিজের সবকিছু হিসেবে মেনে নিয়েছেন) আরো বেশি সতর্ক হওয়া উচিত বিশেষ করে ঈদের কেনাকাটা জন্য মার্কেটিং যাওয়া বা জাতীয় ইন্সিডেন্ট গুলাতে

No comments :

Post a Comment